দাগনভূইয়্যা প্রতিনিধি:
দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ও মসজিদে হামলা-ভাংচুর করেছে স্থানীয় একটি চাঁদাবাজচক্র।
আজ ২০মার্চ, বৃহস্প্রতিবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মুসুল্লি ও নারী-শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় জড়িত এক যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান সোনাগাজী থানার ওসি।
জানাগেছে, পীরেকামেল জামশেদ আলম ওরপে ফুল হুজুর পরিচালিত ফেনীর সোনাগাজী ফতেহপুর জামসেদীয়া সুন্নীয়া মাদরাসা ও জামে মসজিদ দীর্ঘদিন সুন্নী মতবাদে পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে স্থানীয় সিদ্দিক আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন একটি চাঁদাবাজচক্র নানান অজুহাতে চাঁদা দাবি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় বৃহস্প্রতিবার জোহরের নামাজের আগ-মুহুর্তে সিদ্দিক ও তার সহযোগী আবদুল আলিম আবদুল্লাহ , মুন্সি ড্রাইভার, আলমগীর হোসেন, আরাফাত হোসেন ও দিদারুল আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মাদরাসা, মসজিদ এবং মুসুল্লিদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে।
তাদের হামলায় মুসুল্লি কামরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, মাদরাসা শিক্ষক আবুল হাসেম, শিক্ষিকা বিবি হাজেরা, তাহমিনা লিপি, মাদরাসা ছাত্র আবদুর রহমান, সাজ্জাদুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইয়াসিন ও মুুহাম্মদ মামুনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক আবুল হাশেম বলেন, চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসীরা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও মসজিদে নামাজে বাধা দিচ্ছে। দুপুরে বহিরাগত কিছু লোক নিয়ে সিদ্দিক মাদরাসার দুজন শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি, মাদরাসা ভবন ও গাড়ী ভাংচুর এবং ছাত্র ও শিক্ষকদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
ঘটনার পর থেকে পলাতক হওয়ায় সিদ্দিক আহম্মেদ’র কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ বায়েজিদ আকন জানান, খবর পেয়ে সোনাগাজী থানার এসআই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনান্থল থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র (দামা) সহ আলমগীর নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।