যুগে যুগে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ইতিহাস লিখায় কতশত রফিক, সালাম, জব্বর, বরকত, নূর হোসেন,ডা: মিলন, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা.... আর প্রতিটি আধ্যায়ের পরিশেষে বইয়ের পাতা আর সৃতি স্তম্ভে তাদেরকে বন্দি রেখে ক্ষমতার মসনদ দখলের খেলায় সহজেই মেতে উঠি আমারা।
তোমাদেরকে দিয়ে দল গঠন করানো এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এ এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব, পাশাপাশি দেশের সকল দল ও জনগনের একদফা দাবি বাস্তবায়নে অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্যদিয়ে একটি সরকারের পতন করা আর বহু জাতিক জাতির এই বাংলাদেশ পরিচালনা করা যা একেবারেই ভিন্ন।
শেখ মুজিবুর রহমান আর জিয়াউর রহমান... প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতায় তোমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি পাকাপোক্ত ছিলো তবুও এ জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা কিছু দুষ্ট অপশক্তির সাথে টিকে থাকতে পারেনি, সুতরাং এখানটাই আসল চিন্তার বিষয়। পারবেকি তোমরা অসম দুঃসাহসী চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে??
এরিমাঝে সরকারি বেসরকারি ছাত্র ঐক্যে স্পষ্ট ভাঙ্গন, দেশের প্রতিটি দলের ছাত্র সংগঠনের ছাত্রদের বাদ দিয়ে বাকি রইলা তোমরা!
তৃণমূলে নির্দলীয় হাতেগোনা আমজনতার মার্কেটে তোমাদের গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু অথবা অন্য সকল দলের নেতা কর্মী সমর্থক বাদ দিলে তোমাদের ভাগে যা কয়েকজন হবে তারা তোমাদেরকে কত % ভোট সংগ্রহ করে দিতে পারবে অথবা তোমরা তাদের উপর ভর করে নিরাপদে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবে? যার শংকা এখনো তোমাদের নিজেদের মতভিন্নতা ও বিভাজন উল্লেখযোগ্য হারে পরিলক্ষিত এবং তা নিয়মিত চলমান।
তোমরা তোমাদের স্থানে থাকাটাই ছিলো সর্বোচ্চ সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত, সকল দলমত নির্বিশেষে অধিকার বঞ্চিত আপামর জনতা তোমাদের পাশে থাকতো তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে আসতো তোমাদের নেতৃত্বে নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে।
তোমরা কার ফাঁদে পা দিলা? জানিনা ক্ষমতার লোভ নাকি দেশ প্রেম (যা তোমাদের চলমান-চিত্রে অস্পষ্ট) তোমরা নতুন দল গঠন করলা তাও আবার তোমাদের মাঝে পদ পদবী নিয়ে বাড়াবাড়ি মারামারি!! এরি মাঝে শুরু হলো অথবা একক সিদ্ধান্তে শুরু করলা নির্বাচনী প্রচারণা!!
তাহলে কেন এতো দিন সংস্কার সংস্কার করে ঐক্য বিনষ্ট কোরলা অন্যান্য দলের দ্রুত নির্বাচনের দাবির সাথে তোমরাও ঐক্যমত পোষণ করে কিংবা আলোচনার মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করাটাই কি উত্তম হতো না? তাহলে কি দেশের নিরপেক্ষ আমজনতা আর কখনোই অপরাজনীতির দলীয় বেস্টনী থেকে বের হতে পারবেনা??
বাংলাদেশের অতীতের ৫৪ বছরের ইতিহাস যেখানে আশা সেখান থেকেই শুরু হয় নিরাশা। তা আবারও প্রমাণিত হলো আসিফ নাহিদ হাসনাত আর সার্জিসদের মাধ্যমে যা তিরে এসে তরি ডোবার মতোই আক্ষেপের পুনরাবৃত্তি।।